খাইরুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: গভীর রাতে আতঙ্কিত-যন্ত্রনায় কাতর পরিবারে ঘুম কেড়ে নিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। কোথা থেকে কি হয়ে গেল শুধু দুঃচিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। অসুস্থ হেনারা তার ভাষায় “আমি বাচতে চাই” স্বামী মো. মোবাশ্বের হাওলাদার স্ত্রীর চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে আজ অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মানবতার কাছে জীবন কতটা অসহায় তাহা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদ্বয় এগিয়ে আসলে আরও কিছু দিন বেঁচে থাকার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা গ্রামের মোবাশ্বেরে’র স্ত্রী হেনারা বেগম।
হেনারা গত ৭/৮ মাস আগে হঠাৎ লিবার ও কিডনি সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। পরে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও পরে তার শরিরে পানি জমে নিজের পা দুটো হারাতে বসেছে- আল্লাহর রহমতে তার স্বামী অনেক দুঃখ কষ্ট করে পায়ের নিয়মিত চিকিৎসা করে বাম পা একটু সুস্থ হলেও ডান পা সুস্থ করতে পারেনি আজও। এক পর্যায়ে তার পায়ে কয়েক দফা বরিশাল, ভান্ডারিয়া ও পরোজপুর চিকিৎসা করেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে যাহা হয়। পায়ের ক্ষত এমন এক পর্যায় দাঁড়িয়েছে যে, পায়ের পীড়া শরীরের মেরুদন্ডের দিকে ধাবিত করেছে। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকায় মহামারি আকার ধারণ করেছে তার শরীরে।
এতদিন অর্থের অভাবে যথাযথ সু-চিকিৎসা নিতে পারেননি। অনেক সময় পরিবারের সংসার চালাতে গিয়ে তার ঔষধ পর্যন্ত কিনতে পারেননি। তবুও অন্যের কাছে কখনও দ্বারস্থ হয়নি। আজ তার চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে তার দিনমজুর স্বামী মোবাশ্বের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাবার বসতভিটা টুকু ছাড়া আর কিছুই নাই বললে চলে। ধার-দেনা করে বাবার সংসারে নিজ হাতে সংসার জীবন চালিয়েছেন। অর্থের অভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষুদ্র লোন নিয়ে সংসার জীবন চালায়। কিন্তু তার স্ত্রী এমন এক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নিজের জীবনের সহায় সম্বলটুকু বলে কিছু আর কিছু থাকল না। একদিকে এনজিও লোনের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ অপরদিকে স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ চালাতে অসহায়।
এমতবস্থায় পরিবার সংসার জীবন চালাতে গিয়ে মানুষের কাছে সাহায্যে প্রার্থনা ছাড়া হেনারার স্বামী মোবাশ্বের’র আর কোন বিকল্প পথ থাকল না। এমনি এক মুহুর্তে অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়িয়েছে ছত্রকান্দা গ্রামের তরুণ প্রজন্মের একঝাক যুবক। তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তির্বগে প্রতি সদয় নিবেদন জানিয়েছেন। ছত্রকান্দা গ্রামের দেশে ও প্রবাসে যারা বসবাস করছেন সকলের প্রতি আহ্বান জানায় অসহায় হেনারার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ২লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এই পরিমান অর্থ যোগার করা তার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।